রমজানকে সামনে রেখে অধিক লাভের আশায় বুক বেধেছিল বরগুনা আমতলী উপজেলার তরমুজ চাষীরা। গত বছরের তুলনায় এ বছর ফলনও ভাল হয়েছে। অনেক ক্ষেতের তরমুজ বড় হয়েছে।
১৫-২০ দিন পর এসব তরমুজ বিক্রি করার কথা ছিল। কিন্তু বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ার কারণে গত তিনদিন ধরে অতি বৃষ্টির কারণে তলিয়ে গেছে কৃষকের অধিকাংশ তরমুজ ক্ষেত। এতে গাছ ও ফলন পঁচে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রথমদিকে গুড়িগুড়ি বৃষ্টির কারণে কৃষকরা আশাবাদী ছিল বৃষ্টি ক্রমান্বয়ে থেমে যাবে। কিন্তু মঙ্গলবার বিকেলে ৫-৬ মিনিটের শিলা বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ায় তরমুজ গাছ ওলোটপালোট হয়ে ফলগুলো নষ্ট হলেও গাছ এখনো ঠিক আছে। তবে ক্ষেতে পানি জমে গেছে। বৃষ্টি আরও দুই- এক দিন স্থায়ী হলে তরমুজ গাছের গোড়ায় পানি জমে গাছ ও ফলন পঁচে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তায় আছেন কৃষকরা।
বুধবার সরেজমিনে দেখা যায়, বৃষ্টির পানিতে তরমুজ ক্ষেত তলিয়ে গেছে। ক্ষেতের পানি নিষ্কাশনের প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছেন কৃষকরা। তারা ক্ষেতের বেড কেটে দিয়েছেন পানি নিষ্কাশনের জন্য।
বৃষ্টিতে কি রকম ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে জানতে চাইলে উপজেলার সোনাখালী গ্রামের তরমুজ চাষী মোঃ হানিফ হাওলাদার বলেন, মঙ্গলবার বিকেলের শিলা বৃষ্টিতে বেশকিছু ফল নষ্ট হয়ে গেছে। সামনে কি হয় বলতে পারি না। এ রকম বৃষ্টি হলে গাছ ও ফলন পঁচে যাবে। চাষিদের পথে বসতে হবে।
টেপুরা গ্রামের কৃষক মেহেদী হাসান বলেন ,বৃষ্টির পানিতে তরমুজ ক্ষেত তলিয়ে গেছে। এ নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তায় আছি। পানি নিষ্কাশন করেও পারছি না। বৃষ্টি আরও হলে ব্যাপক ক্ষতি হবে।
আমতলী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সিএম রেজাউল করিম বলেন, বৃষ্টিতে তরমুজ ক্ষেতের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাপ এখনো বোঝা যাচ্ছে না। তবে কৃষকদের ক্ষেতের পানি নিষ্কাশনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এইচ এম রাসেল
আমতলী বরগুনা প্রতিনিধি
মন্তব্য করুন