বানিয়াচং উপজেলার ৫নং দৌলতপুর ইউনিয়নের মার্কুলি বাজারে এক মাদকসেবীর হাতে জাহাঙ্গীর নামে নৌ পুলিশ ফাঁড়ির সদস্য নিহত হয়েছেন। নিহত জাহাঙ্গীরের বাড়ি কিশোরগঞ্জে।
সোমবার (৩০ জানুয়ারি) রাত ৮টার দিকে মার্কুলি বাজারের দুলাল ভ্যারাইটিজ স্টোরে এ ঘটনা ঘটে।
সুত্র জানায়, উল্লিখিত সময়ে কনস্টেবল শাওন ও জাহাঙ্গীর দোকানে বসা ছিলেন। এসময় হুট করে ভবঘুরে মাদকসেবী পলক দাস এসে জাহাঙ্গীরের মাথার ডান দিকে স্টিলের টেপ দিয়ে সজোরে আঘাত করে। একপর্যায়ে দোকানের বাহিরে গিয়ে অপর পুলিশ সদস্য পলক দাসকে ধরে ফেলেন।
এমতাবস্থায় ধস্তাধস্তির এক ফাকে পুলিশ সদস্য জাহাঙ্গীর মাটি পড়ে যান। পরে আশেপাশের লোকজন এসে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য স্থানীয় একটি ফার্মেসীতে নিয়ে যায়। সেখানে তার অবস্থা বেগতিক দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাত সাড়ে ৯ টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সযোগে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে সেখানে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন পুলিশ সদস্য জাহাঙ্গীর। রাতেই নিহত জাহাঙ্গীরের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন অতিরিক্ত পুশিল সুপার (বানিয়াচং সার্কেল) পলাশ রঞ্জন দে ও বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ অজয় চন্দ্র দেব। পরে আটক পলক দাসকে বানিয়াচং থানায় নিয়ে আসা হয়। পলক দাস ওই ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের শাখাইতি গ্রামের ক্ষীর মোহন দাসের পুত্র।
বানিয়াচং উপজেলার ৫নং দৌলতপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মঞ্জু কুমার দাস জানান, ঘটনার কয়েকদিন পূর্বে পলক দাসকে গাঁজা সেবন করতে দেখলে, তিনি তাকে গাঁজা সেবন না করার উপদেশ দিয়ে শাসন করেন। এ শাসনের ক্ষোভ থেকেই পলক দাস কনস্টেবল জাহাঙ্গীর আলমকে হত্যা করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তিনি আরো জানান, গত ৭/৮ মাস পূর্বে টাঙ্গাইল থেকে প্রেরণে নৌ পুলিশ ফাঁড়িতে যোগদান করেন নিহত জাহাঙ্গীর।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বানিয়াচং সার্কেল) পলাশ রঞ্জন দে গণমাধ্যমকে জানান, কি কারণে জাহাঙ্গীরকে হত্যা করা হয়েছে তা এখনো স্পষ্ট করে কোনো কিছু বলা যাচ্ছেনা। এ নিয়ে তদন্ত চলছে।
মন্তব্য করুন