ময়মনসিংহের ত্রিশালে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বেইলি ব্রিজ ভেঙে বিদ্যুতের ট্রান্সফরমারবাহী একটি ৪২ চাকার লরি ও প্রাইভেটকার নদীতে পড়ে যায়। এতে সরকারের ৩০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে উল্লেখ করে, ওই ঘটনায় অজ্ঞাত লরি চালককে দায়ী করে ত্রিশাল থানায় মামলা দায়ের করেছেন ভালুকা সড়ক উপ-বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আবদুল হালিম।
বুধবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে কেওয়াটখালী বিদ্যুৎ পাওয়ার গ্রিডের ট্রান্সফরমারবাহী একটি লরিটি ত্রিশালের চেলেরঘাটের খিরু নদীর ওপর নির্মিত স্টিলের বেইলি ব্রিজ পার হওয়ার সময় সেটি ভেঙে নদীতে পড়ে যায়। এ সময় লরির পেছনে থাকা যাত্রীবাহী একটি প্রাইভেটকারও নদীতে পড়ে এবং এতে আহত হন চারজন।
মামলায় সড়ক ও জনপথ বিভাগের দাবি, মহাসড়কের আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৪০ টন ওজন পরিবহন করার কথা থাকলেও অনুমতিহীন ভাবে ট্রান্সফরমারবাহী লরিটি ১২০ টন লোড নিয়ে বেইল ব্রিজে ওঠার কারণে সেটি স্প্যানসহ ভেঙে পড়ে যায়। এতে সরকারের ৩০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে।
এ ঘটনায় সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পরামর্শক্রমে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে জানান উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আবদুল হালিম।
আজ বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, এনার্জিপ্যাক কোম্পানি থেকে ক্রয় করা ট্রান্সফরমারটি নদী থেকে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করেনি বিদ্যুৎ বিভাগ। সওজ কর্তৃপক্ষ লাল কাপড় দিয়ে এলাকাটি চিহ্নিত করে রেখেছে। ঘটনাস্থলে মহাসড়কের একপাশের লেন বন্ধ থাকায় হালকা যানজট হচ্ছে।
ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইন উদ্দিন জানান, যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ তৎপর রয়েছে। পুলিশের একটি টিম সেখানে সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কেবিএম সাদ্দাম হোসেন বলেন, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের ব্রিজ ডিজাইনার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. শাহাদাত হোসাইন ও নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এই দুর্ঘটনায় ত্রিশাল থানায় নিয়মিত মামলা করা হয়েছে। ঘটনা তদন্তের পর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবে।
ময়মনসিংহ পিজিটিপির নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুল হক বলেন, কার্যাদেশ অনুযায়ী আমাদের কাছে ট্রান্সফরমার সরবরাহ করে তা চালু করে দেওয়ার দায়িত্ব ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের। ময়মনসিংহ অঞ্চলের একটি ট্রান্সফরমার বিকল হয়ে পড়ায় ৮০ এমবিএর এই ট্রান্সফরমারটি পাঠানোর কথা ছিল।
মন্তব্য করুন