বরগুনার তালতলীতে সরকারের উন্নয়ন কাজ করায় উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়ার প্রতিবাদ জানিয়ে আইনশৃঙ্খলা সভায় নিন্দা প্রস্তাব পাশ হয়েছে।বৃহস্পতিবার উপজেলা পরিষদের পায়রা সম্মেলন কক্ষে মাসিক আইনশৃঙ্খলা সভা চলাকালে এ নিন্দা প্রস্তাব পাশ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত আনোয়ার তুমপা।
জানা গেছে, তালতলী বাজারে ড্রেনেজ ব্যবস্থায় সরকারের উন্নয়ন কাজ করার জন্য উপজেলা পরিষদের পাশেই মাটি খনন করেন। সরকারি উন্নয়ন কাজ বানচাল করার জন্য উপজেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক সগীর হোসেন বাধা দেন। বাধা বিঘ্ন অতিক্রম করে সরকারি উন্নয়ন কাজ চালিয়ে যাওয়ায় উপজেলা চেয়ারম্যানকে আসামি করে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা দায়ের করা হয়।
ওই মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান গত মার্চ মাসের সভায় মামলার বিষয়ে নিন্দা জানিয়ে বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান ক্লিন-ইমেজের একজন লোক। তিনি তালতলী উপজেলার উন্নয়নের কাজ করে থাকেন। কিছু কুচক্রী মহল ষড়যন্ত্র করছে সরকারের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য। এইসব ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানান। একই সাথে নিন্দা প্রস্তাব রাখেন। আইন শৃঙ্খলা সভার সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত আনোয়ার তুমপা মার্চ মাসের সভার বিভিন্ন বিষয়ে প্রস্তাবনা পাশের রেজুলেশন পাঠ করার সময় এই বিষয়টিও উঠে আসে। সেখানে সর্ব সম্মতিক্রমে এই নিন্দা প্রস্তাবটি পাশ করা হয়।
নির্বাহী অফিসার সিফাত আনোয়ারা তুমপা বলেন, আমি গত মার্চ মাসের আইন-শৃঙ্খলা সভার বিষয়ে বিভিন্ন প্রস্তাবনার রেজুলেশন পাশ করি। সেখানে উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে ভাইস চেয়ারম্যানের প্রস্তাবটিও পাশ করা হয় এবং নিন্দা প্রস্তাব গ্রহীত হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রেজবি উল কবির জোমাদ্দার বলেন, তালতলী বাজারের জলবদ্ধতার পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থার কাজে সগীর হোসেন বাধা দেয়। পরবর্তীতে উল্টো আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছেন। সরকারের উন্নয়ন কাজ করতে গিয়ে এই মিথ্যা মামলা হয়েছে আমার বিরুদ্ধে।
উল্লেখ্য, গত ৯ মার্চ মামলার বাদী মো. ছগির হোসেনের ভোগদখলীয় জমি থেকে জোরপূর্বক মাটি কেটে নেওয়া ও জীবননাশের হুমকি দেওয়ায় অভিযোগে উপজেলা চেয়ারম্যান রেজবি উল কবির জোমাদ্দারের বিরুদ্ধে গত ১৪ মার্চ দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন ছগির হোসেন। মামলাটি বর্তমানে সিআইডিতে তদন্তাধীন রয়েছে।
মন্তব্য করুন