রাজধানীর রামপুরায় বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী শিক্ষার্থী মেহেদী হাসানের (১৭) মৃত্যু হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে নিহতের বন্ধু মোটরসাইকেল চালক শাকিল।
আজ ঈদুল ফিতরের দিন শনিবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে রামপুরা টিভি সেন্টারের বিপরীতে হাতিরঝিলে এই দুর্ঘটনা ঘটে। ঘাতক বাসটি জব্দ করা হলেও চালক পালিয়ে গেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
দুর্ঘটনার পর গুরুতর আহত অবস্থায় দুইজনকে উদ্ধার করে দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মেহেদীকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই মাসুদ মিয়া বলেন, নিহতের মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। আহত শাকিলকে জরুরি বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
হাতিরঝিল থানার এসআই সুজন দেব বলেন, এ ঘটনায় যাত্রীবাহী দূরপাল্লার সৈকত-শাওন পরিবহনের একটি বাস জব্দ রয়েছে। তবে চালক পলাতক। বাসটি যাত্রী নিয়ে গাইবান্ধা যাচ্ছিল।
হাসপাতালে নিয়ে আসা উদ্ধারকারী সিএনজিচালক খোকন শেখ বলেন, রামপুরা টিভি সেন্টারের বিপরীত পাশে সড়কে মোটরসাইকেলটি সিটকে পড়ে দ্রুতগতির বাসের চাকায় চাপা পড়ে। পরে আহত অবস্থায় তাদের দুপুরে ঢামেকে নেয়া হলে মেহেদীকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আহত শাকিলের বরাত দিয়ে সিএনজি চালক বলেন, ঈদের নামাজ শেষে বন্ধুরা ঘুরতে বের হয়েছিল।
নিহতের বাবা আবুল কাশেম বলেন, মেহেদী বাসা থেকে বন্ধুদের সাথে ঘুরতে বের হয়েছিল। পরে খবর পাই সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। হাসপাতালে এসে তাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পাই।
মেহেদীর বাবা আবুল কাশেম শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার বাসিন্দা, পেশায় সবজি ব্যবসায়ী। তারা বর্তমানে রামপুরা ওয়াপদা রোড নতুন রাস্তা এলাকায় বসবাস করছেন। দুই ভাইয়ের মধ্যে মেহেদী ছিল বড়।
মন্তব্য করুন