নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় বসতঘর থেকে তাওহিদ নামে এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (১০ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার সুন্দলপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর সুন্দলপুর গ্রামের দেলোয়ার আর্মি বাড়ি থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত মো. তাওহিদ (২০) উপজেলার সুন্দলপুর ইউনিয়নের দেলোয়ার আর্মি বাড়ির মো. মহিউদ্দিন ওরফে খোকনের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভিকটিমের মা রেহানা আক্তার ও পরিবারের অন্য সদস্যরা সোমবার ভোররাতে সেহরি খেতে উঠেন। ওই সময় রোজা রাখার জন্য সেহরি খেতে ছেলেকে ডাকাডাকি শুরু করেন তিনি। ছেলে তার মায়ের ডাকে সাড়া না দিলে, তিনি জোরে দরজা ধাক্কা দিলে দরজা খুলে যায়। রেহানা বেগম দরজা খুলে দেখেন ছেলে তাওহিদ টিনের ঘরের আড়ায় গামছা দিয়ে ফাঁস দিয়ে ঝুলছে। এরপর রেহানা বেগমের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসেন। খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।
জানা যায়, ৮-৯ মাস আগে তাওহিদ প্রেম করে বিয়ে করে ফেনীর পশুরাম এলাকার মমতাজ নামে এক তরুণীকে। বিয়ের পর থেকে বাবা-মায়ের সঙ্গে স্ত্রী মমতাজের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কলহ লেগে থাকত। পরিবার ও স্ত্রীর ওপর অভিমান করে সোমবার দিবাগত গভীর রাতের কোনো একসময়ে বসতঘরের নিজ শয়নকক্ষে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে সে।
কবিরহাট থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা নেওয়া হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন