নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় মোবাইলে পরিচয়ের সূত্র ধরে তরুণীকে (১৯) বিয়ের প্রলোভেন নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে কথিত প্রেমিকের বিরুদ্ধে।
রবিবার রাতে এ ঘটনায় চরজব্বার থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে প্রেমিকসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
মামলার আসামিরা হলো— সুবর্ণচর উপজেলার চরওয়াপদা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের চরওয়াপদা গ্রামের মুকিদ মিয়ার সমাজের আবদুল করিম হুজুরের ছেলে আব্দুল আলী (২৯), একই সমাজের আবুল হাসেমের ছেলে মো. রাসেদ (২৭) ও একই ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চরকাজী মোখলেছ গ্রামের মো. রফিকুল ইসলামের ছেলে মো. আজগর (২৬)।
মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী তরুণী জেলার সদর উপজেলার বাসিন্দা। তিন মাস আগে তার সঙ্গে মোবাইল ফোনে পরিচয় হয় নোয়াখালী জেলার সুবর্ণচর উপজেলার চরওয়াপদা ইউনিয়নের আব্দুল আলীর সঙ্গে। একপর্যায়ে প্রেমিক আবদুল আলী বিয়ের আশ্বাসে তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। গত ৯ মার্চ আবদুল আলী তার প্রেমিকাকে মোবাইল করে জানায় তাকে বিয়ে করে চট্টগ্রাম নিয়ে যাবে।
এতে ১০ মার্চ রাত পৌনে ৯টার দিকে সরল বিশ্বাসে প্রেমিকা বাড়ি থেকে বের হয়। সেখান থেকে প্রেমিক তাকে নিজে সিএনজি চালিয়ে উঠিয়ে নিয়ে যায়। এরপর কাজী অফিসে না নিয়ে প্রেমিক তার বন্ধু রাসেদ ও আজগরের সহায়তায় তরুণীর গায়ের ওড়না দিয়ে মুখ বেঁধে একটি সয়াবিন ক্ষেতে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে রেখে চলে যায়। এর পর ভিকটিম বাড়ি ফিরে গিয়ে তার আত্মীয়স্বজনদের জানায়।
চরজব্বার থানার ওসি দেবপ্রিয় দেব দাশ বলেন, এ ঘটনায় ভিকটিম নিজে বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় একটি মামলা করেছেন। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
মন্তব্য করুন