বরগুনা আমতলীতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা দখল করে স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ করছেন আরপাঙ্গাসীয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. বশির হাওলাদার। আমতলী উপজেলার আরপাঙ্গাসীয়া বাজারে বেড়িবাঁধের ঢালে ইট,বালু, সিমেন্ট ও রড দিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, খুব দ্রুত ওই ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নদীর জোয়ার ও জলোচ্ছ্বাসের পানি থেকে কৃষি জমিকে রক্ষা করার জন্য ১৯৮৪ সালে আমতলী উপজেলার আড়পাঙ্গাশিয়া এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ড বেড়িবাঁধ নির্মাণ করে। এর কিছুদিন পরেই ওই বেড়িবাঁধে স্থানীয়রা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী বেড়িবাঁধে কোন স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না। তবে উপজেলার আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য বশির হাওলাদার পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমি দখল করে ইট, বালি, সিমেন্ট ও রড দিয়ে ৮টি কলাম করে স্থায়ী স্থাপনা (বিল্ডিং) নির্মাণ করছেন। পরে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বিষয়টা জানতে পেরে ঘটনা স্থল পরিদর্শন করে তার নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন।
তবে অভিযোগ রয়েছে, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করার পরে ওই ইউপি সদস্য পুনরায় নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন।
স্থানীয় রুজি বিশ্বাস বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমিতে ৮টি আরসিসি কলম (খুটি) করে বিল্ডিং নির্মাণ করছে ইউপি সদস্য বশির হাওলাদার। পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজন নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়ে চলে যাওয়ার সাথে সাথে ওই ইউপির সদস্য আবারও নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য বশির হাওলাদার বলেন, আমি ২০বছর ধরে আড়পাঙ্গাশিয়া বাজারে ব্যবসা করি। আমি জানি সরকারি জায়গায় স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না। তবে আমার কোন কিছু করার নাই। যেহেতু আমি ধান চালের ব্যবসা করি তাই আমার ব্যবসার জন্য একটা শক্তপোক্ত গোডাউন দরকার।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. হিমেল বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ইউপি সদস্য বশির হাওলাদার বেড়িবাঁধের পাশে ইট,বালি, সিমেন্ট ও রড দিয়ে বেজ করে ৮টি কলম (খুটি) নির্মাণ করেছেন। তার নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়ে আসছি।
বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমি দখলমুক্ত রাখার জন্য সর্বদা কাজ করছি। কোন অবৈধ দখলদার পানি উন্নয়ন বোর্ডে জমি দখল করে রাখতে পারবেনা। কেউ যদি এ কাজ করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মন্তব্য করুন