
বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে নিজ দলের সতীর্থ নাসুম আহমেদকে মেজাজ হারিয়ে মারতে উদ্যত হওয়ার ঘটনার পর ক্ষমা চেয়েও পার পেলেন না মুশফিকুর রহিম।
বিসিবির কোড অব কনডাক্ট অনুযায়ী, মুশফিককে ম্যাচ ফি’র ২৫ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে। সেইসঙ্গে তার নামের পাশে যোগ হয়েছে একটি ডিমেরেটি পয়েন্ট। বিসিবির কোড অব কনডাক্ট (২.৬) অনুযায়ী এটা একটা লেভেল ১ অপরাধ।
এর আগে মঙ্গলবার সকালে নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে নাসুমের সঙ্গে হাস্যজ্জ্বল একটি ছবি পোস্ট করে ক্ষমা চান মুশফিকুর রহিম। ক্যাপশনে নাসুমের পাশাপাশি সমর্থকদের কাছেও ক্ষমা চান এই তারকা উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান।
উল্লেখ্য, সোমবার অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি ঘটে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ম্যাচের সময়। প্রথমটি ঘটে ইনিংসের ত্রয়োদশ ওভারে। ওই ওভারে নাসুমকে বিশাল ছক্কা মেরেছিলেন আফিফ। নাসুমের ছক্কা খাওয়াতে মুশফিক ছিলেন বিরক্ত। পরের বলেই আফিফ মিডউইকেটে বল ঠেলে সিঙ্গেল নিয়েছেন। তখন নিজের পজিশন ছেড়ে বোলিং কুড়িয়ে আনতে যান নাসুম ও মুশফিক। তখন বলটি হাতে তুলে নিয়েছিলেন মুশফিক-ই, কিন্তু উত্তেজিত মুশফিক বল হাতে নিয়ে উইকেটে না মেরে প্রথমে নাসুমকে মারার জন্য উদ্যত হন!
পরের ঘটনা ১৭তম ওভারে। শফিকুলের বলে আফিফ উইকেটের পেছনে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন। সেটি ধরতে উইকেটের পেছন থেকেই ছুটে যান মুশফিক। ওই ক্যাচ ধরতে ছুটছিলেন নাসুমও। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নাসুম দাঁড়িয়ে থেকে মুশফিককে ক্যাচ নেয়ার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। আফিফের ক্যাচ ধরে মুশফিক ফের একই ভঙ্গিতে নাসুমকে মারার জন্য উদ্যত হয়েছিলেন!
স্বাভাবিকভাবেই অধিনায়কের কাছ থেকে এমন আচরণ পেয়ে বিস্মিত ছিলেন নাসুম। উইকেট পেয়ে যেখানে উল্লাস করার কথা, উল্টো নাসুম পেলেন ‘অপ্রত্যাশিত’ আচরণ। যা ক্রিকেটের চেতনার সঙ্গে বড্ড বেমানান।
ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে নাসুমের সঙ্গে ঝগড়ার ব্যাপারে মুশফিককে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি সেটি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ। সবকিছু ঠিক আছে। জয়ের মধ্যে থাকলেও ব্যক্তি ও দল হিসেবে আমাদের উন্নতির জায়গা আছে আরও। সুতরাং আগামীকাল আরেকটা ম্যাচ আছে, আশা করি জিতব, দেখা যাক আশা করি দল হিসেবে খেলতে পারব।’
মুশফিকের এমন আচরণে সমালোচনার ঝড় উঠে সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এরপর মঙ্গলবার সকালে ক্ষমা চান তিনি। এবার জরিমানার কবলে পড়লেন।