ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) আসনের উপনির্বাচনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারেন, এমন আশঙ্কা থেকে বিএনপির সংরক্ষিত আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক রুমিন ফারহানাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ। তবে এ ঘোষণার পাত্তা দিচ্ছেন না বিএনপির এই নেত্রী। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ আমার ছায়াকে ভয় পায়, যার কারণে এ ঘোষণা।
এলাকায় যাওয়ার প্রয়োজন হলে, দলীয় প্রোগ্রাম থাকলে অবশ্যই যাবেন বলে জানান তিনি।
শুক্রবার আশুগঞ্জ মধ্যবাজারে উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় তাকে অবাঞ্ছিত করার সিদ্ধান্ত হয়। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছফিউল্লাহ মিয়ার সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার। সভায় রুমিন ফারহানাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার তার বক্তৃতায় জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচনী এলাকায় ভোট হওয়া পর্যন্ত রুমিন ফারহানাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বিএনপি উপনির্বাচন প্রতিহত করার চেষ্টা, বানচাল বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে তা প্রতিহত করার জন্য আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানান আল মামুন।
এ ব্যাপারে রুমিন ফারহানা বলেন, আওয়ামী লীগ কতটা ভীতু! তাদের এই ঘোষণা থেকেই বোঝা যায়। আমি আশুগঞ্জ গেছি, ইউনিয়ন পরিষদে কর্মী সমাবেশ করলাম, ইউনিয়ন পরিষদে যারা সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক রয়েছে তাদের সঙ্গে বসলাম। আমি সেখানে বলেছি বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি, আপনারা ভোট কেন্দ্রে যাবেন না। আওয়ামী লীগ বললো আমি নাকি ভোট প্রতিহতের ঘোষণা দিয়েছি। এটাতো ছায়া দেখে ভয় পাওয়া, আমার ছায়া দেখে তারা ভয় পাচ্ছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী এখন উকিল আব্দুল সাত্তার। তারা মনে করছে আমি এলাকায় গেলে তাদের ভরাডুবি হবে।
নির্বাচনের আগে এলাকায় যাবেন নাকি জানতে চাইলে রুমিন ফারহানা বলেন, নির্বাচন উপলক্ষে এলাকায় যাওয়া আসার কোনো পরিকল্পা নাই। তবে এর মধ্যে যাওয়ার প্রয়োজন হলে অবশ্যই যাব, দলীয় প্রোগ্রাম থাকলে অবশ্যই যাব।
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে উপনির্বাচন। এ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া। গত ১১ ডিসেম্বর দলীয় সিদ্ধান্তে জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন তিনি। পরে দলীয় পদ-পদবি ছেড়ে উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন আবদুস সাত্তার। এ আসনে কোনো প্রার্থী দেয়নি আওয়ামী লীগ। বরং নির্বাচনী প্রচারণায় তার সঙ্গে দেখা গেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-কর্মীকেও।
মন্তব্য করুন