নিজের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত ছিলেন আগেই। সেই সূত্রেই বারবার মাকে জানিয়েছিলেন বাসা ছেড়ে অন্য এলাকায় চলে যাওয়ার কথা। মা হয়তো ছেলের আশঙ্কাকে গুরুত্ব দেননি। সেটাই কাল হলো মায়ের জীবনে। গত ৩১শে আগস্ট ২০২২ সালে নিখোঁজ হন স্কুলছাত্র আহনাফ রহমান(১৫)। আজ দীর্ঘ পাঁচ মাস সন্ধান নেই তার। মা দশ টাকা দিয়ে চা খেতে পাঠিয়েছিলেন বাসার নিচে। কিন্তু সে যাওয়াই যে শেষ যাওয়া তা কে জানতো?
আহনাফ দারুস সালাম সরকারি মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের নবম শ্রেণির ছাত্র। শান্তশিষ্ট মেধাবী আহনাফ ছিলেন মা-বাবার চোখের মণি। ভাবুনতো, আপনি আপনার সন্তানকে কোলে-পিঠে করে মানুষ করছেন, আর সে সন্তান হঠাৎ গায়েব বা একেবারে গুম হয়ে গেলো। কেমন লাগবে আপনার? ঠিক সেই মর্মযাতনায় ভুগছেন আহনাফের মা। ছেলের জন্য তিনিও অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। এমনকি নিজের ভিটেমাটি বিক্রি করে হলেও ছেলের সন্ধান চান মমতাময়ী মা।
আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারি বাহিনী কোন হদীস দিতে পারেনি আহনাফের। এমনকি কোন অগ্রগতিও নেই আহনাফকে উদ্ধারের জন্য করা জিডির। স্বাধীন দেশে বিচারের বাণী নিভৃতে কাঁদে এটা তো কোন নাগরিকের কাম্য নয়। আহনাফের মায়ের আশা, বাংলাদেশ পুলিশ খুব শীঘ্রই এই রহস্যের জাল ভেদ করতে পারবে। কারণ পুলিশ চাইলে সবই সম্ভব।
মন্তব্য করুন