ঈদুল আজহার ছুটি পেয়ে ঈদ উদযাপনে ছুটছে মানুষ। আর এই মানুষের চাপে সাভারের চারপাশসহ এখানকার সব ক’টি সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
রাস্তার যেখানে সেখানে বাস থামিয়ে যাত্রী তোলার কারণে যানজট তীব্র আকার ধারণ করেছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন ঈদযাত্রায় থাকা মানুষ।
বৃহস্পতিবার (০৭ জুলাই) সন্ধায় ৭ দিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সাভার ও আশুলিয়ার নবীনগর-চন্দ্রা, টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড (ঢাকা-আশুলিয়া) ও ঢাকা-আরিচা মহাড়কে বিভিন্ন পয়েন্টে তীব্র যানজট। আরও জানা গেছে, নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের দুই লেনে পল্লী বিদ্যুৎ থেকে জিরানি পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার যানজট লেগে আছে।

এছাড়া টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কে বাইপাইল থেকে জামগড়া ও ধাউর থেকে আশুলিয়া বাজার পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার যানজট পোহাচ্ছে মানুষ।
এদিকে ঢাকা-আরিচা মহাড়কে গাড়ির চাপ না থাকলেও গাবতলী থেকে ৫ কিলোমিটার যানজটের তথ্য পাওয়া গেছে।
নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক দিয়ে আশুলিয়ার কবিরপুর থেকে বাইপাইল আসছিলেন তানজিম হাসান। তিনি দুপুর ১টার দিকে কবিরপুর থেকে বাইপাইলের উদ্দেশে প্রাইভেটকার যোগে রওনা দেন। যানজট ঠেলে তাদের বাইপাইল আসতে সময় লেগেছে প্রায় ৩ ঘণ্টার মতো।
তানজিম হাসান বলেন, প্রতিদিন যেখানে আমাদের বাইপাইল আসতে লাগে ৭ থেকে ১০ মিনিট। সেখানে আমাদের আজকে লাগলো ৩ ঘণ্টারও বেশি। আমরা পাম্প থেকে আমাদের গাড়িতে ৫০০ টাকার গ্যাস তুলেছিলাম। সেই গ্যাস শেষ।
অন্যদিকে টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়ক দিয়ে বাইক যোগে ধৌড় থেকে জামগড়া এসেছেন রিপন মাহমুদ। তিনি বলেন, আমি পুরোটা রাস্তায় যানজট দেখলাম। বাইক নিয়েও আসার অবস্থা নেই। রাস্তায় গাড়ির প্রচুর চাপ।
ঢাকা উত্তর ট্রাফিক ইনর্চাজ (প্রশাসন) আব্দুস সালাম বলেন, এখন রাস্তায় প্রচুর পরিমাণে গাড়ির চাপ রয়েছে। অধিকাংশ পোশাক কারখানায় ছুটি হয়েছে। তাই সবাই বাড়ি ফেরার জন্য রাস্তায় এসেছে। এছাড়া যাত্রবাহী বাসগুলো দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে যাত্রী ওঠানোর কারণে এই যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি সড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক রাখতে।
Discussion about this post