ঢাকা-১৮ আসনে উপনির্বাচনে সুষ্ঠু ভোট আয়োজনে নির্বাচন কমিশন কোন পদক্ষেপ নিতে পারেনি বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
বুধবার নির্বাচন কমিশনের সাথে বৈঠক শেষে ঢাকা-১৮ উপনির্বাচনে বিএনপির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক আমানউল্লাহ আমান এ অভিযোগ করেন।
আমানউল্লাহ আমান বলেন, ‘ঢাকা-১৮ আসনে উপনির্বাচনে পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের উপর নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণ নেই। প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিরপেক্ষ আচরণ করছে না। বিএনপির উপর বার বার হামলার ঘটনা ঘটলেও রিটার্নিং কর্মকর্তা ও পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে ভোটের আগে বিএনপির কর্মী ও এজেন্টরা আতংকে রয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক দল। আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য আমরা জনগণকে দেখাতে চাই, এত প্রতিকূলতার মধ্যেও বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। সর্বশেষ ঢাকা-১৮ আসনে দেখতে চাই, নির্বাচন কমিশন তাদের অবস্থানে থেকে সাংবিধানিক পদে থেকে দায়িত্ব পালন করেন কী না।’
আমান বলেন, ‘আমরা পরিস্থিতি তুলে ধরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ জানিয়েছি।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ঢাকা-১৮ উপনির্বাচনে এই সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে কী না- তা সর্বশেষ পর্যন্ত দেখবো। পরবর্তীকে কী হবে তা জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে।’
এসময় ঢাকা-১৮ আসনে উপনির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘আমরা যেখানে প্রচার কর্মসূচি দেই সেখানে সরকারি দলের ক্যাডার বাহিনী দেশীয় অস্ত্রসহ হামলা করে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বাসায় বাসায় গিয়ে বিএনপির কর্মী-সমর্থকদের এলাকা ছাড়ার হুঁমকি দিচ্ছে। আমাদের পোলিং এজন্টেরা আতংকে ভুগছে। এমনকি অহেতুক ভয়-ভীতি দেখানোর জন্য আমার পাশের বাসায় এসেও পুলিশ হুঁমকি দিয়ে গেছে।’
তিনি বলেন, ‘এসব ঘটনায় অভিযোগ করেও প্রতিকার পাওয়া যায়নি। প্রশাসনের উপর ইসির নিয়ন্ত্রণ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।’
এর আগে বিকেলে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি কমিশনাররে সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, সাবেক সংসদ সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম, বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল ও ধানের শীষের প্রার্থী এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন